বিশেষ প্রতিবেদকঃ কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক হারুনুর রশিদ রোববার কুড়িগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মজনু মিয়ার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ইতিপূর্বে তিনি অন্য আর একটি চাউল আত্মসার্থ মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে ছিলেন।জানাযায়, গত ২১ আগস্ট উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ ও ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোজাফফর হোসেন বাদী হয়ে ভাঙচুর লুটপাট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ফুলবাড়ী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী পোদ্দার রতন, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান খন্দকার মিঠু, দেলোয়ার হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল আলম মিঞা সোহেলসহ ৮৬ জন নেতাকর্মীর নামে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন।আসামিপক্ষের আইনজীবী আশরাফুল আলম বলেন, মামলার অন্যান্য আসামিরা অনেক আগেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন। হারুন অর রশিদ এতদিন পলাতক ছিলেন। রোববার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে নির্দেশ দেয়।৫ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে গেলে আত্মগোপনে থাকা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ হারুনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি তার দলীয় এবং ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এবং সীমান্তবর্তী মাদক ব্যবসার ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছিলেন।