বিশেষ প্রতিবেদক ঃ কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দইখাওয়ারচর এলাকায় অসহায় ও গৃহহীন মানুষদের জন্য সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৫০ টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়।আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের মেয়াদ ২ বছর অতিবাহিত হলেও গৃহহীন মানুষের কপালে জোটেনি ঘর।এলাকাবাসীর অভিযোগ ৩০ টি শেডে ১ শত ৫০ টি পরিবারের জন্য ঘর বরাদ্দের কথা থাকলেও সাহেবের আলগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন ঘর দেওয়ার আশ্বাসে ২ শতাধিক নিরীহ অসহায় মানুষের নিকট থেকে ৫ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়।এবছর বন্যায় পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে দেখা দেয় তীব্র নদী ভাঙ্গন। নদী ভাঙ্গনের ফলে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি হুমকির মুখে পড়ে।সরেজমিনে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় নদী ভাঙ্গনের সুযোগে কোন প্রকার টেন্ডার ও প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন ৬ টি শেডের ৩০ টি ঘর তাঁর বাড়িতে নিয়ে যায়।অন্য দিকে ২ টি শেডের ১০ টি ঘর চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আহের আলী,২নং ওয়ার্ডের সদস্য শুকুর আলী ও ১,২,৩ নং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ফুলবানুর যোগসাজশে ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়।এলাকাবাসীর অভিযোগ বিক্রিকৃত ঘরগুলো ২নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা সামশুল হক মুনশির ছেলে সাইফুল ইসলাম ও ১ নং ওয়ার্ডের মৃত্যু নবিন সরকারের ছেলে ঝরু শেখ ক্রয় করে।সাহেবের আলগা ইউনিয়নের সচেতন এলাকাবাসী পক্ষে নুর আলম,আব্দুর রায়হান,সফিয়াল হোসেন,আশরাফুল ইসলাম,মোতালেব,নুর মোহাম্মদ এবিষয়ে সেনা প্রধান,জেলা প্রশাসক,ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।ভুক্তভোগীর দাবি আমাদের কাছে ঘর দেওয়ার আশ্বাসে ৫ হাজার করে টাকা নিলেও ঘর দেয় নাই। এখন ১টি শেডের ৫ টি করে ঘর ১ লক্ষ ১০হাজার টাকায় বিক্রি করছেন। আমরা অসহায় মানুষ কোথায় যাব এই দুনীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিচার চাই।এবিষয়ে সাহেবের আলগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান নদী ভাঙ্গনের ফলে আমি ১০ টি ঘর স্থানীয় মেম্বারদের সহায়তায় বাড়ি নিয়ে যাই।কিন্তু এবিষয়ে পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করি।রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মিথ্যাভাবে হয়রানি করার পায়তারা চলছে।অন্য দিকে উলিপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো:আতাউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান এবিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।