ষ্টাফ রিপোর্টার/- সোমবার (৩ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক দৈনন্দিন বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান যে, দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ ক্রমেই বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে আরও ১৩৫৬ জনের দেহে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৪২ হাজার ১০২ জনে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ২৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৬ জন। এতে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৩৭ হাজার ৯০৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার ৩১ দশমিক ৯১ শতাংশের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৩২ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, এ পর্যন্ত ২ হাজার ৫০৪ জন পুরুষ এবং ৬৮০ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন। ২৪ ঘণ্টায় যে ৩০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চার জন, ষাটোর্ধ্ব ১৪ জন, সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন, ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী একজন।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারী ৩০ জনের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, পাঁচজন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, চারজন খুলনা বিভাগের, সিলেট বিভাগের একজন, রংপুরের একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ৪৬৮ জনকে এবং এ পর্যন্ত আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৫২ হাজার ২৭৩ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৬৩ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৪৪৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন ১৮ হাজার ৮২৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে ৯৯৯ জনকে, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে চার লাখ ৪০ হাজার ১৩২ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৫১৪ জন, এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে মোট ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৮৫ হাজার ২৭৮ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৪ হাজার ৮৫৪ জন।
বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনা থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।
বৈশ্বিক সর্বশেষ-
সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি সাড়ে ১৪ লাখের বেশি। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।গোটা বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়ানো ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৮২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৯২ হাজারের বেশি।