কঠোর হুঁশিয়ারি মির্জা ফখরুলের: সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে

0

ষ্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ আখ্যা দিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “তাকে ছাড়া গণতন্ত্র কল্পনা করা যায় না। তাকে অন্যায়ভাবে ৬ বছর কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে। তাকে মুক্ত না করলে সরকারের জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে।”

 

- Advertisement -

শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ভয়ে মরা নয়, সাহস করে লড়াই করুন। পরিবর্তন আনতে তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ দখলদার সরকার। তারা দেশকে ও দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে ধ্বংস করছে। কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”

 

দুপুর ২টার আগেই নয়াপল্টন এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মির্জা ফখরুল বলেন, “খেটে খাওয়া শ্রমিকরা আজ চাল-ডাল, তেল কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। কেউ চিকিৎসা পায় না। লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধানসহ আরও অনেকেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু রাঘববোয়ালদের ধরা হয় না।”

 

তিনি আরও বলেন, “খালেদা জিয়া আমাদের গণতন্ত্র ও আন্দোলনের প্রতীক। তাকে রক্ষা করতে হলে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বলব— আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়াইয়ে শামিল হই। তরুণ-যুবকদের হাতেই দেশের ভবিষ্যত। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার প্রতি চরম অন্যায় করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে নির্বাসিত করা হয়েছে।”

 

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “সরকার ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তি করেছে। আমরা পানি চাই, অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা চাই। শেখ হাসিনা সবকিছু উজাড় করে ভারতকে দিয়ে দিয়েছেন। বিনিময়ে বাংলাদেশের মানুষ কিছুই পায়নি। বরং তারা পেয়েছে ঘৃণা এবং তাদের সম্পদ লুট করা হয়েছে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকা মানে দেশ ধ্বংস করা। নিজেদের রক্ষা করতে হলে আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে।”

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবদীন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.