আন্তর্জাতিক ডেস্ক/- ডেলাওয়ারের উইলমিংটনে অগণিত সমর্থকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, আমি এমন এক প্রেসিডেন্ট হওয়ার শপথ করছি, যে বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ করবে।নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রথম ভাষণে জো বাইডেন বলেন, এই দেশের মানুষ মুখ খুলেছে। তারা আমাদের পরিষ্কার বিজয় দিয়েছে, একটা বিশ্বাসযোগ্য বিজয়।
শ্বাসরুদ্ধকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ীর মালা গলায় পরেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। যদিও তার কাছে পরাজয় স্বীকার করতে নারাজ প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। আইনি পথে নির্বাচনী ফলাফল চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে এসব নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাচ্ছেন না নব-নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চান।
এ কথার পরপরই ট্রাম্প সমর্থকদের উদ্দেশে নব্য প্রেসিডেন্ট বলেন, এবার একে অপরকে সুযোগ দেই। এখন কঠোর বাকবিতণ্ডা দূরে রাখার, উত্তেজনা কমানোর, আবারও একে অপরকে দেখার, একে অপরের কথা শোনার সময় এসেছে। এখন আমেরিকার সেরে ওঠার সময়।এরপর তার রানিংমেট কমলা হ্যারিসকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানান জো বাইডেন।
বাইডেনকে জয়ী ঘোষণার পর ব্রুকলিনের রাস্তায়ও ছিল আনন্দ-উল্লাস। অনেকেই বাড়ির ছাদে উঠে নাচ শুরু করেন। রাস্তা দিয়ে চলাচলরত পথচারীদেরও তাতে সমর্থন দিতে দেখা যায়।
এদিকে, শনিবার পেনসিলভানিয়ায় জয়ের মাধ্যমে বাইডেনের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত হতেই রাস্তায় নেমে আসেন সমর্থকেরা। শুরু হয় বাঁধভাঙা উল্লাস। ডেমোক্র্যাটদের বিজয়ী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায় তাদের মধ্যে।
তুমুল হর্ষধ্বনি আর হাততালি শোনা গেছে ওয়াশিংটনজুড়ে। বহু মানুষ ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে, গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, থালা-বাসন পিটিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। আওয়াজ আসছিল সেখানকার ক্যাপিটল ভবনের চারপাশ থেকেও। এসময় অনেককেই খুশির অশ্রু মুছতে দেখা গেছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান