এফডিসিতে অঞ্জনাকে শেষ বিদায়, বনানীতে দেওয়া হলো কবর

0
বিনোদন ডেস্কঃ শেষবারের মতো এফডিসিতে এলেন এক সময়ের পর্দা কাঁপানো চিত্রনায়িকা অঞ্জনা। তবে ততক্ষণে এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে তিনি বিদায় নিয়েছেন। শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে অঞ্জনার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি এফডিসিতে পৌঁছালে সৃষ্টি হয় শোকাবহ পরিস্থিতির।

শেষবারের মতো এই চিত্রনায়িকাকে দেখতে আসেন দীর্ঘদিনের সহকর্মী, ভক্ত থেকে সংবাদকর্মীরা।জোহরের নামাজের পর প্রথম জানাজা শেষে মরদেহ নেয়া হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নেওয়া হয় বনানী কবরস্থানে। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।

শনিবার বিকেল ৩টা ১৫ মিনিটে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রীর ছেলে নিশাত রহমান মনি।

এর আগে শুক্রবার রাত ১টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অঞ্জনা রহমান। এর আগে বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে অভিনেত্রীকে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সেখানে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতিতে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।

ডিসেম্বরের শুরুতে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন অঞ্জনা।জ্বর না কমায় গত ২২ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকটি পরীক্ষার পর রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত আট দিন করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) থেকেও তার শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। শেষ অবধি আর ফেরানো গেল না এ অভিনেত্রীকে।

অঞ্জনার অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্র দিয়ে। একই বছর তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘দস্যু বনহুর’ ছবি দারুণ সাড়া ফেলে। এরপর তাকে আর ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবতে হয়নি।
একে একে অভিনয় করেন ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’, ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ,‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, এর মতো সফল সিনেমায়।

- Advertisement -

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.