সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এক ভীতিময় পরিবেশে বসবাস করছে। প্রতিনিধিত্বহীনতায় হিন্দু জনসংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায় বলেন, জাতীয় সংসদ, স্থানীয় সরকারসহ সর্বক্ষেত্রে আসন সংরক্ষণ ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রাণের দাবি। এই বাস্তবায়নে হিন্দু সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংশ্লিষ্ট সংস্কার কমিটি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো প্রকৃত প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে দাবি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরে বলা হয়, দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ১২ শতাংশ। সেই হিসাবে ৩৫০টি সংসদীয় আসনের ৪২টি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। এর মধ্যে ৩৮টি হিন্দুদের জন্য, বৌদ্ধদের জন্য তিনটি ও খ্রিস্টানদের জন্য একটি আসন থাকতে হবে। সারা দেশের প্রাপ্ত ভোট অনুসারে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দলগুলো সদস্য মনোনীত করবে। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ, আদিবাসী ও খ্রিস্টান সংসদ সদস্যরা সমমর্যাদা সম্পন্ন হবেন। ভোট দেবেন স্ব স্ব সম্প্রদায়ের ভোটাররা।