আন্তর্জাতিক ডেস্ক – গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ইরানি ভোটাররা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে পোলিং বুথে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
এবারের নির্বাচনে প্রধান প্রার্থীরা ছিলেন দুইজন কট্টরপন্থী রক্ষণশীল এবং একজন অপেক্ষাকৃত সংস্কারপন্থী প্রার্থী। কট্টরপন্থী প্রার্থীরা হলেন ইরানের পরমাণু চুক্তির মধ্যস্থতাকারী জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইদ জালিলি এবং পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ। সংস্কারপন্থী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান, যিনি ইরানকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিতে পুনরায় ফেরানোর পক্ষে।
নির্বাচন ত্রিমুখী হলেও এতে আরও একজন প্রার্থী ছিলেন, তিনি ধর্মীয় নেতা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোস্তফা পুরমোহাম্মদি। মোট ছয়জন প্রার্থী নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন, তবে পরে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা ছিল। এই নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম, যা পূর্বের নির্বাচনের মতোই। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই গণনা শুরু হয়েছে এবং আজ নির্বাচনের ফলাফল জানা যাবে।