ইন্টারনেট বন্ধে জড়িতদের নাম জানতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা

ষ্টাফ রিপোর্টার : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে কারা জড়িত, তা জানতে চেয়েছেন। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুশফিকুর রহমানকে।

আজ রোববার প্রথম কার্যদিবসে সকালে সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যান উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়টি আলোচনায় আসে। নাহিদ ইসলাম বলেন, “ইন্টারনেট বন্ধ মানবাধিকারের লঙ্ঘন। আন্দোলনের সময় মানবাধিকার ক্ষুণ্ন হয়েছে।”

বৈঠকে উপদেষ্টা আরও বলেন, “কার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়, তা বের করতে হবে। মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কোন কোন কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়ে ইন্টারনেট বন্ধে সহযোগিতা করেছেন, তা-ও খতিয়ে দেখতে হবে। ইন্টারনেট বন্ধের কারণে অনেক তথ্যই জানা সম্ভব হয়নি। কত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, তা জানা যায়নি।”

ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করতে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) এ কে এম আমিরুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটি গঠনের পর সদস্যরা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিটিআরসি ভবনে যান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। পাঁচ দিনের মাথায় ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু করা হয়। আর ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়।