ষ্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি মোকাবিলায় তার দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং কোনো ধরনের দুর্নীতিই সহ্য করবেন না। তিনি বলেন, তার বাসায় কাজ করেছে এমন একজন লোক এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক এবং হেলিকপ্টার ছাড়া চলেন না। তার অপরাধ জানার পর তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
- Advertisement -
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তার কঠোর অবস্থানের কারণেই দুর্নীতিবাজরা ধরা পড়ছে। তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন এবং সেই নীতির প্রতি তিনি অটল থাকবেন।
করোনা মহামারির সময় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে ভ্যাকসিন কিনতে হওয়ায় নিয়মনীতি মানার সময় ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষকে বাঁচাতে টেন্ডার প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে ভ্যাকসিন কেনা হয়েছিল। কেউ সেখানে দুর্নীতি খুঁজতে চাইলে তা করতে পারেন, তবে এটি সাংবাদিকদের তথ্য খোঁজা এবং ফাইল চুরির মতো বিষয় নয়।
চীন সফর নিয়ে সমালোচকদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের সফরে ২১টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। যারা এই সফরের সমালোচনা করছেন, তারা কি এসব জেনে-বুঝে করছেন, নাকি শুধুই তাকে হেয় করার উদ্দেশ্যে? ভারত সফরের পর বলা হলো দেশ বেচে দিয়েছেন, এখন বলা হচ্ছে চীন কিছু দেয়নি।
সংক্ষিপ্ত সফরের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রচণ্ড জ্বরের কারণে পুতুল তার সঙ্গে চীনে যেতে পারেনি। দেশে ফিরে আসার পর এত সমালোচনা হওয়ায় তিনি অবাক হয়েছেন। তিনি জানান, অফিসিয়াল কাজ শেষ হলে তিনি সফরে গিয়ে শপিং বা ঘোরাঘুরি করেন না এবং এর আগেও তিনি এমনভাবে সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন।