ষ্টাফ রিপোর্টার/- ‘আজ কোর্ট-কাচারি-উচ্চ আদালত থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে, এক ব্যক্তির কথায় চলে। আজ দেশে গণতন্ত্র নেই, আছে হাসিনার শাসনতন্ত্র। হাসিনা মানে সংবিধান। দুটি কথা, সবকিছুতে আমি, আর সবকিছু আমার। আমার বা আমারবাদ।’
অভিযোগ করে বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। শনিবার (২১ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, “গণতন্ত্রে কিন্তু কখনও ‘আমার’ শব্দটি গ্রহণযোগ্য নয়। গণতন্ত্র মানে ‘আমরা’, গণতন্ত্র মানে ‘আমাদের’, গণতন্ত্র মানে ‘বহুজন’, গণতন্ত্র মানে ‘বহুমত’। গণতন্ত্র মানে একজনের মত নয়, গণতন্ত্র মানে একজন নয়।”
‘সুতরাং এই যে কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা, এটা স্বৈরতন্ত্রকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতাসম্পন্ন ও বিকারগ্রস্ত এক ব্যক্তির শাসনে দেশটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। সেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার আগেই আপনাদের উদ্যমী হয়ে রাজপথ দখল করতে হবে। স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
তারেক রহমানের জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যিনি আজ লন্ডনে বসে আছেন চিকিৎসার জন্য, আমাদের এই নেতাকে আগামীদিনে দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তির অবশিষ্ট নেতা বলা যায়, অর্থাৎ এটি আমাদের একমাত্র ঠিকানা।’
‘এই ঠিকানাকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং আমাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে কথা ও কাজের মধ্যে সঙ্গতি রেখে জনগণের প্রত্যাশা ও জনগণের উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টিতে আপনাদের একেকবার একেকজনকে একেকটা উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। আমরা আজ তারেক রহমানের জন্মদিন পালন করছি। আমরা বলছি, শুভ শুভ জন্মদিন, তারেক রহমানের জন্মদিন। কাল যেন বলতে পারি, শুভ শুভ শুভদিন, বাংলাদেশের শুভদিন, জনগণের শুভদিন।’
রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। সংগঠনের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কেন্দ্রীয় নেতা তবিবুর রহমান সাগর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আপনারা বলেছেন, আজ স্বেচ্ছায় রক্তদান, এই রক্ত কারা পাবে? শ্রমজীবীরা পাবে, সাধারণ রোগীরা পাবে। তারা যেমন উপকৃত হবে, এটা মানবতার সেবার একটি অংশ।
‘পাশাপাশি এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আপনারা রাজপথে স্বেচ্ছায় রক্ত ঝরিয়ে আরেকটি একাত্তর সৃষ্টি করবেন, বাংলাদেশকে মুক্ত করবেন, গণতন্ত্রকে মুক্ত করবেন— এটা আমরা আশা করি। এ কারণে আশা করি যে, আগামীর দেশটা আপনাদের, আপনারা যারা তরুণ, আপনারা যারা ছাত্র তাদের…।’