রাজস্থানের আজমীরের একটি আদালত ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ এবং কেন্দ্রকে এ বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে।ওই পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, আজমীরে সুফি সাধক মঈনুদ্দিন চিশতির দরগায় একটি শিবমন্দির রয়েছে। আদালতকে আবার ঘটনাস্থলে পূজার অনুমতি দিতে বলা হয়েছে পিটিশনে।
আবেদনকারীর অ্যাডভোকেট যোগেশ সিরোজা বলেছেন, সিভিল বিচারক মনমোহন চন্দ্রের আজমীর দরগা কমিটি, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই) অফিসে তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে নোটিশের আদেশ দিয়েছেন। এমনকি বারাণসী, মথুরা ও ধরর ভোজশালাসহ সারা দেশের বড় মাজারগুলোর ক্ষেত্রেও একই দাবি তুলেছে হিন্দু সেনা।
আদালতে দায়ের করা ওই পিটিশনে ১৯১১ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক হর্বিলাস সার্দারের লেখা একটি বইয়ের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, আজমীর শরীফের চারপাশে হিন্দু ধর্মের মৃৎশিল্প ও খোদাই রয়েছে।
আঞ্জুমান সৈয়দ জাদগানের সেক্রেটারি সৈয়দ সারওয়ার চিশতী বলেন, আফগানিস্তান থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়াসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ আসেন। এখানে বহুত্ববাদ প্রচার হয়। এ ধরনের কাজ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জাতির পরিপন্থী। আজ তিন পক্ষকে নোটিশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা দেখব আমরা কী করতে পারি। কাশী, মথুরার প্রাচীন মসজিদগুলো লক্ষ্য করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড ভালো নয়।’ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ ডিসেম্বর।
সূত্র : এনডিটিভি
- Advertisement -