পাবনা প্রতিনিধি/- পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের হরিহরপুর গ্রামে মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোর আবু হানিফ (১৩) গিয়েছিল নদীতে গোসল করতে। হঠাৎ চোখে পড়ে পাশের আখখেতে মাছের ঝাঁক। তখন সে মাছ ধরতে ঢুকে পড়ে আখখেতে। মাছ ধরতে না পেরে খেত থেকে একটি আখ খাওয়ার জন্য নিয়ে আসে। কিশোরের এই দুরন্তপনায় জমির মালিক ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে আখ দিয়ে বেধড়ক পিটুনি দেন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে এখন ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ওই কিশোর।
ভুক্তভোগী আবু হানিফ হরিহরপুর গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে ও অষ্টমনিষা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। আর আখক্ষেত মালিক নুর বক্স হরিহরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও পচা মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনায় কিশোর আবু হানিফের চাচা শরৎ মোল্লা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্র ও আহত কিশোরের স্বজনরা জানান, আবু হানিফ দুপুরের দিকে বাড়ির পাশের নদীতে গোসল করতে যায়। গোসল করতে গিয়ে নদীর পাশে নুর বক্সের আখখেতের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বৃষ্টির পানিতে মাছ দেখতে পায়। কিশোর মনের দুরন্তপনায় সে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরতে না পেরে ওই জমি থেকে একটি আখ হাতে নিয়ে আসে।কান্নাজড়িত কণ্ঠে হানিফের মা রাশিদা খাতুন জানান, তার ছেলের সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। আহত অবস্থায় আবু হানিফকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়ছে। এ ঘটনায় হানিফের চাচা শরৎ মোল্লা বাদী হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভাঙ্গুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় আখখেতের মালিক হরিহরপুর গ্রামের পচা মোল্লার ছেলে নুর বক্স আবু হানিফকে ধরে ফেলেন। তিনি তার হাত বেঁধে আখ দিয়েই বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এ সময় আবু হানিফের মা লোক মারফত খবর পেয়ে ছেলেকে রক্ষা করার জন্য ছুটে যান। কিন্তু ছেলে আবু হানিফের মা রাশিদার সামনেই ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে পেটাতে থাকেন তিনি। এরপর তাকে আহতাবস্থায় রেখে চলে যান। এ সময় অনেক লোক ঘটনাটি দেখলেও কেউ তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসেননি।