প্রতিবার এমন অপেক্ষায় পুরো বাংলাদেশই থাকে।দুই-একজনের দল পাওয়ার ঘটনাও নিয়মিত ছিল। কিন্তু এবার? একজনও নয়। আগের বছরও আইপিএলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব ছিল। তাই বলে হা-হুতাশ এবং হাপিত্যেশ থেমে ছিল না।
প্রশ্নটি শুনে নির্বাচক রাজ্জাক একটু যেন বিব্রতও হলেন, ‘এটি তো আমার জন্য জটিল প্রশ্ন হয়ে গেল। বর্তমান অবস্থান থেকে উত্তর দেওয়া মুশকিল।’ তবু তাকে আলোচনায় ঢুকতে হয়।
কারো দল না পাওয়াতে অযুক্তির কিছুও দেখেননি তিনি, ‘কার মান কী রকম, সেটি আমার কথা নয়। আমার কথা হচ্ছে, শেষ যে টুর্নামেন্টগুলো হয়েছে, সেগুলোতে আমাদের পারফরম্যান্স কী ছিল? (দল গড়ার ক্ষেত্রে) আইপিএলের দলগুলো অনেক বেশি নির্দিষ্ট। তারা অনেক চিন্তা-ভাবনা করে দল সাজায়। তারা যদি (বাংলাদেশের কাউকে) না নেয়, অবশ্যই সেখানে যৌক্তিকতা আছে।’ নিজেদের চাহিদা তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন বলেও মনে হয়েছে রাজ্জাকের, ‘কে কোথাকার, তারা (আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি) আসলে এসব দেখে না। ওরা টাকা দিয়ে খেলোয়াড় কেনে। চাহিদা তৈরি করার অবস্থায় থাকলে ওরা কাউকে না কাউকে নিত।’
আইপিএলের গত আসরে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সও ছিল। রাজ্জাক এবার যা একটু আশা করেছিলেন, তা এই বাঁহাতি পেসারকে নিয়েই, ‘আমি খুবই আশাবাদী ছিলাম যে মুস্তাফিজ থাকবে।’
এবার আগামী তিন মৌসুমের পুরো সময়ের জন্য ১২ জন ক্রিকেটারকে ছাড়পত্র দিয়েছিল বিসিবি। তবুও কারো সুযোগ না পাওয়াকে হতাশার বলছেন না রাজ্জাক। তিনি বরং তাগিদ দিচ্ছেন আইপিএলে ডাক পাওয়ার উপযোগী করে নিজেদের তৈরি করার দিকে, ‘আমার কাছে এটি (কারো সুযোগ না পাওয়া) হতাশার নয়। যত দেশে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হচ্ছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়। টাকা-পয়সা এবং খেলোয়াড়দের সম্পৃক্ততার দিক থেকে। আমাদের খেলোয়াড়রা থাকতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে একজন খেলোয়াড়ের জন্য ওই দলকেই পুরো দেশ সমর্থন দিচ্ছে। যেভাবে খেললে আইপিএলে নেবে, আমাদের খেলোয়াড়দের উচিত নিজেদের সেভাবে তৈরি করার দিকে মনোযোগী হওয়া।’
- Advertisement -