আন্তর্জাতিক ডেস্ক মে মাসে বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে ‘বিপজ্জনকভাবে’ অস্ট্রেলিয়ার সামরিক নজরদারি বিমানের পথ আটকে দিয়েছিল চীনা যুদ্ধবিমান। রবিবার এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ।অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ২৬ মে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান এয়ার ফোর্স (আরএএএফ) পি-৮ সামুদ্রিক নজরদারি বিমানকে ‘নিয়মিত সামুদ্রিক নজরদারি কর্মকাণ্ড’ পরিচালনার সময় আটকে দেয় একটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান। এই পথরোধের কারণে পি-৮ বিমানকে বিপজ্জনকভাবে সরে যেতে হয়েছিল, যা এর ক্রুদের জন্য ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজি সাংবাদিকদের জানান, তার সরকার ‘যথাযথ মাধ্যমে’ এ প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।অস্ট্রেলিয়ার চীনা দূতাবাস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। এ ঘটনার কয়েক দিন আগে কানাডার সামরিক বাহিনীও অভিযোগ করেছিল, জাতিসংঘ অনুমোদিত টহলের সময় তাদের পাইলটকে হয়রানি করেছে চীনের যুদ্ধবিমান। ওই অভিযোগ নিয়েও কোনো মন্তব্য জানায়নি বেইজিং।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লস ২৬ মে’র ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন, সেদিন তাদের বিমানের সামনে খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায় চীনা যুদ্ধবিমান। তিনি বলেন, ‘স্পষ্টতই এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক ছিল’।এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়াও বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরে প্রশ্নবিদ্ধ দ্বীপকে ঘিরে চীনের দাবি আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ‘আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তারা ওই অঞ্চলে কয়েক দশক ধরে সামুদ্রিক নজরদারি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।অস্ট্রেলিয়া ও চীন একে অপরের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার। কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় চীনের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।