অর্থনৈতিক জোন হবে মিরসরাই

0
বিশেষ প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান দূতাবাসের ডাইরেক্টর জেনারেল (ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ) সামসু কিমের সঙ্গে চিটাগাং চেম্বারের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক ও চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা।কোরিয়ান দূতাবাসের ডাইরেক্টর জেনারেল সামসু কিম বলেন, বাংলাদেশ থেকে কোরিয়ায় প্রতিবছর রপ্তানির পরিমাণ ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট করার ব্যাপারে উভয় দেশ কাজ করছে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত হচ্ছে তৈরি পোশাক শিল্প। এ খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য। অটোমোবাইল শিল্প বিশ্বে বৃহৎ শিল্প। ভারতেও অটোমোবাইল শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেরও অটোমোবাইল সাপ্লাই চেইন শিল্প সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। মিরসরাই অর্থনৈতিক জোন হবে ‘স্যাটেলাইট সিটি অব চিটাগাং’।সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পিএইচপি মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার, পিএনএল হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান খান, বিএসআরএম করপোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার ইফাত চৌধুরী, কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি (কোটরা)-এর চিফ স্পেশালিস্ট ফারুক আহমেদ ও চেম্বারের যুগ্ম সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী।চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, দেশের কমার্শিয়াল হাব হিসেবে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। তৈরি পোশাক খাত, জাহাজ নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইটিসহ বিভিন্ন খাতের বিকাশে এই অঞ্চল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে চিটাগাং চেম্বার সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। তাই দুই দেশের মধ্যবর্তী বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে এখনই সময়।বক্তারা শিপবিল্ডিং, শিপ রিসাইক্লিং খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগসহ বাংলাদেশে একক বা যৌথ উদ্যোগে মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্ট ও অটোমোবাইল লেদার ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।এ ছাড়া জেনারেল সামসু কিম মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ‘ইকোনমিক ইনোভেশন পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম’ (ইআইপিপি)-এর আওতায় স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের পরিকল্পনা তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন। যেখানে হাসপাতাল, স্কুল, খেলার মাঠসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। ভবিষ্যতে যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ইঞ্জিন হয়ে উঠবে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য মিরসরাই স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে হাই ভ্যালু ম্যানুফ্যাকচারিং ইহুাস্ট্রি গড়ে উঠবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

- Advertisement -

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.