আন্তর্জাতিক ডেস্ক/- লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে অবস্থিত প্রাচীন নগরী মাচু পিচু পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এদিকে এই শহরটি পুণরায় খুলে দিতে পারায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিয়ে ইনকা রীতিতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পেরু কর্তৃপক্ষ। করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ প্রায় আট মাস ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে মাচু পিচুর দ্বার পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো।পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত এই প্রাচীন নগরী মাচু পিচু। খবর বিবিসির।
তবে আগের মতো বেশি সংখ্যক পর্যটক এখন আর মাচু পিচুতে ভ্রমণ করতে পারবেন না। ওই শহরে পর্যটকদের সংখ্যা কমিয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে প্রতিদিন মাত্র ৬৭৫ জন পর্যটক শহরটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
১৯৮৩ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় জায়গা করে নেয় মাচু পিচু দুর্গ। প্রাচীন ইনকা সাম্রাজ্যের সর্বশেষ স্বীকৃত ধ্বংসাবশেষ এটি। প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা ১৫শ শতাব্দীতে ইনকা সম্রাট পাচাকুতির সময়ে ওই দুর্গটি নির্মাণ করা হয়েছে।
পরে পেরু সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন করায় তাকাইয়ামাকে গত মাসে মাচু পিচু শহরে ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হয়। এ নিয়ে তাকে বেশ উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায়। জাপানি ওই পর্যটকের পর এবার অন্যান্য পর্যটকরাও মাচু পিচুতে ভ্রমণের অনুমতি পেলেন।
এর আগে জাপানি এক পর্যটক পেরুর সরকারের কাছে বিশেষ আবেদন করার পর তার জন্য উন্মুক্ত করা হয় মাচু পিচুর দ্বার। গত মার্চে কয়েক দিনের অবসর কাটানোর জন্য পেরুতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাকাইয়ামা। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ওই শহরের কাছাকাছি শহর অগাস ক্যালিয়েন্টেসে আটকে পড়েন তিনি।