সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জ্যাকবসন এই প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রধান উপদেষ্টাকে জ্যাকবসন বলেছেন, ‘আমরা একটি জাতি হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ে আপনার সরকারকে সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত।’
জুলাই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আশা করছি ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছবে।’
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কেও তাকে জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমি কোনো ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর শুনিনি। সরকার শুধু সহায়কের ভূমিকা পালন করবে। আমার কাজ একটি ঐকমত্য তৈরি করা।’
সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং এটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি প্ল্যাটফরমে রূপান্তরিত করার তার সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এভাবেই সার্কের ধারণাটি এসেছে এবং আমরাই এর সূচনাকারী।’
তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য দেশটির সমর্থন চেয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ মার্কিন তুলার একটি শীর্ষ আমদানিকারক এবং দেশটিকে আরো বেশি পোশাক এবং টেক্সটাইল আমদানি করার আহ্বান জানান।
- Advertisement -