কামাল হোসেন : বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাস ছিল, যা নির্বাচনের জন্য গঠিত হতো। কিন্তু বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের সুনির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নির্ধারিত হয়নি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টারা ৮ আগস্ট শপথ নিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট এই সরকারের বৈধতা নিশ্চিত করেছে। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট এই সরকারের বৈধতা প্রদানের মতামত দেয়।
এই সরকারের মেয়াদ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে মতামত এসেছে:
- সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, মেয়াদ নিয়ে আলোচনা এখনো শুরু হয়নি। সরকার একটি গণতান্ত্রিক দেশে যাওয়ার প্রস্তুতির জন্য সময় নিবে।
- আসিফ মাহমুদ উল্লেখ করেন, মেয়াদ সম্পর্কে কোনো নির্ধারিত সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাষ্ট্র সংস্কার এবং নির্বাচনের জন্য একটি সুসংগঠিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
- শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, সুশাসন এবং রাষ্ট্র সংস্কার তিন বা ছয় মাসের কাজ নয়। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে কিছু সময় লাগবে।
- ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম বলেন, এটি কেয়ারটেকার সরকার নয়। সরকারের মেয়াদ সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষার ওপর নির্ভর করছে।
- ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাষ্ট্র কাঠামো ঢেলে সাজানোর কাজ স্বল্প মেয়াদে সম্ভব নয়, তবে সরকারের কাজের রূপরেখা প্রকাশ করলে তা সাহায্য করবে।
- হাসিব জামান বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য তিন থেকে ছয় বছর সময় প্রয়োজন হতে পারে।
সবমিলিয়ে, এই সরকারের মেয়াদ কী হবে তা বর্তমানে স্পষ্ট নয়, এবং রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করা হবে।