অনুসন্ধানী প্রতিবেদন !! গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৗশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি’র মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ

0
বিশেষ প্রতিবেদক :  গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৗশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকারের  অনিয়ম -দুর্নীতি’র মাধ্যমে  অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ চরিত্রস্খলন জানিত অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে  শাস্তিমুলক বদলি করা হয় গণপূর্তের রাজশাহী বিভাগে। বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত প্রকৌশলী মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে,  এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।জানা গেছে,  গণপূর্তের ঠিকাদারসহ সাধারণের কাছে  গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৗশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি,অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ চরিত্রস্খলন জানিত বিষয়ে ব্যাপকভাবে  আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাত্র ৯ বছর গণপূর্তে চাকরি করে তিনি এখন শত কোটি টাকার মালিক বনে যান। এ ছাড়াও গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। গণপূর্তের আপদমস্তক দুর্নীতিবাজ একজন নারীলোভী নন বিসিএস প্রকৌশলী হিসাবে সবাই তাকে চেনেন ও জানেন।উচ্চপর্যায়ের তদবীরে লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই কোনো রকম ভাইভা পরীক্ষা দিয়ে এসডিই হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। কোনো নারী সহকর্মীই তাঁর কাছে নিরাপদ ছিলেন না । বিভিন্ন সময়ে নারী সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করলেও মানসম্মানের ভঁয়ে তারা কেউ মুখ খোলেন নি। গণপূর্তের সাবেক সচিব কাজী ওয়াসিউদ্দিন এ বিষয়ে জানতে পারলে তাঁকে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে বদলী করে দেন।সুচতুর এই প্রকৌশলীর নাম মো: জাহাঙ্গীর আলম । তিনি গণপূর্তের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী।বর্তমান রাজশাহী গণপূর্ত বিভাগে কর্মরত আছেন । একটি  নির্ভরযোগ্য একটি  সূত্রের দাবি তাঁর বিরুদ্ধে  চরিত্রস্খলন জানিত অভিযোগ দীর্ঘদিনের। চাকুরী জীবনের শুরু থেকেই তিনি নানাবিধ অনিয়ম -দুর্নীতিতে নিমজ্জিত থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা।তিনি  অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থে রাজধানীর  মোহাম্মদপুরে গড়েছেন আলিশান বাসভবন। গ্রামের বাড়িতে কিনেছেন ৩০ বিঘারও বেশি জমি । তিনি গণপূর্তে ২০১২-২০১৬ পর্যন্ত চাকরি না করেও এককালীন বেতন-ভাতা তুলেছেন। একই সময়ে তিনি বিআইডব্লিটিএ থেকেও বেতন তুলেছেন। কোনো সরকারি কর্মকর্তার জন্য এটি নজিরবিহীন ঘটনা।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে,   ঢাকার জিগাতলা কোয়ার্টারের কাজ না করিয়ে এসডিই এবং এসও এর মতামত সনদ ছাড়াই ঠিকাদারের সাথে টাকা ভাগাভাগি করে বিল তুলে নিয়েছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গ্লাস টাওয়ারে লাইটের মূল্য তিনগুন দেখিয়ে এনার্জী প্লাস কোম্পানির সাথে যোগসাজশ করে লুটে নিয়েছে ৮ কোটি টাকা । বিভিন্ন কাজ ঠিকাদারকে দিয়ে না করিয়ে ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সেই টাকা লুটেপুটে খেয়ে কাজ অর্ধেক করে এবং কখনো কাজ না করেই পুরো টাকা তুলে নিয়ে ভাগাভাগি করেছেন।গণপূর্তের একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে ,প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর  মোটা অংকের অর্থ  চাঁদা দিয়ে ঢাকা বোট ক্লাবের মেম্বার হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে । সেখানে উঠতি মতেল ও চলচ্চিত্র  নায়িকা  ছাড়াও অনেক মেয়ে শরাব শাবাব ও কাবাব নিয়ে আয়েসি সময় কাটান  বলে একাধিক সুত্র দাবী করেছে।সাম্প্রতিক চারমাস আগে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে বদলি হওয়ায় প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর বিভিন্ন প্রকৌশলীর নাম বেনামে অভিযোগ লিখে পত্র পত্রিকায় খবর প্রচার করে পুনরায় ঢাকায় পোস্টিং নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন । চার মাস আগে পোস্টিং হলেও তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন দেড়মাস। কারণ ঢাকার অবাধ বিচরণ আর অবৈধ উপার্জন কোনটির সুযোগ মিলেনা রাজশাহীতে।এছাড়া ২ কোটি টাকার বিনিময়ে ঢাকায় ওয়ার্কিং ডিভিশনে পোস্টিং বাগিয়ে নেয়ার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ জন্য তিনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার  কাছের লোকজনের বাসায় ধর্ণা দিয়ে এখন ও চেষ্টা অব্যহত রেখেছে । অথচ: দুর্নীতি ও চরিত্র স্খলনের  বিষয়টি চাউর হলে মাত্র ৪ মাস আগে ঢাকা থেকে রাজশাহীতে দ্রুত বদলি করেন গণপূর্ত বিভাগের  প্রশাসন শাখা। গণপূর্তের অবৈধ অর্থ আয়ের  মোহ তাঁকে তাড়িত করে বেড়ায়।গণপূর্তের একটি বিশ্বস্থ সূত্র বলছে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য গণপূর্ত  মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একাধিক  আত্মীয় স্বজনের বাসায় গিয়ে  ধরণা দেওয়াসহ ওই আত্মীয়দের মোটা অংকের অর্থের প্রলোভনে প্রলুব্ধ করার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন । কারন এাই জোর প্রচেষ্টার একমাত্র কারণ হিসেবে জানা গেছে  অবৈধ টাকার নেশা ছাড়তে পারছেন না এ অসাধু  প্রকৌশলী।গণপূর্তের একাধিক ঠিকাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই অসৎ নারীলোভি কয়েকশ ঠিকাদারের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া সবার সাথে প্রতারণা করেছেন। মোটা অংকের ফিগার ছাড়া কেউ তাঁর নাগাল পেত না।এসব অনিয়মের বিষয় জানতে চাওয়া হলে প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর গণমাধ্যম কে জানান, ” আমার কোনো বক্তব্য নেই। আপনারা সচেতন মানুষ আপনাদের কি বক্তব্য দেব আপনি নিউজ করেন। তিনি আরও বলেন,বোর্ড ক্লাবে সদস্য হয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আমার এত টাকা আছে?  দুই অফিস থেকে বেতন উঠানোর বিষয়টি তিনি  অফিসিয়ালভাবে খোঁজ নিযে দেখতে বলেন। তাহলে বোর্ড ক্লাবের সদস্য হওয়ার বিষয়টি চাউর হল কেন? গণমাধ্যমের এমন এক  প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম। ভয়ংকর আমলনামা নিযে ঢাকায় ফিরতে তার বিরুদ্ধে  জোর তদবীর ও দৌড়ঝাঁপ অব্যহত রাখার অভিযোগ ও  পাওয়া গেছে একাধিক সূত্রে ।

- Advertisement -

- Advertisement -

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.